মোবাইল ফোনে ব্লু-ফিল্ম দেখা, প্রেমালাপ করা, প্রেমের ফাঁদে ফেলে দৈহিক মিলন ঘটানোর কাজে ক্রমেই অভ্যস্ত হয়ে হয়ে পড়ছে জামালপুরের উঠতি বযসের তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীরা।
বাজারে সুন্দর চকচকে দেখতে অথচ সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে চায়না মোবাইল সেট। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, রিকশা চালক, ভ্যান চালক, ভটভটি চালক, নৌকার মাঝি, দোকানের কর্মচারী এক কথায় প্রায় সকলের হাতেই শোভা পাচ্ছে স্বল্পদামে কেনা চায়না ভিডিও মোবাইল সেট। মোবাইল ফোনে নীল ছবি দেখাটা সত্যিকার অর্থেই যুব সমাজকে ধংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
নীতি, নৈতিকতা বর্জিত ও তরুণ সমাজের চরিত্র ধংস হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনায় পারিবারিক ও সামাজিক নানা সমস্যার সৃষ্টি হচেছ বলেও জানা গেছে।
এ জন্য শহরেরর বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা সাইবার ক্যাফে ও মোবাইল সেটে গান ডাউনলোড করার মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারগুলো ও জেলা সদরের বাইরেও উপজেলা কিংবা মফস্বল এলাকায় এসব সাইবার ক্যাফে ও মোবাইল সেন্টারে দিন রাত তরুণ তরুণিদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। এসব পর্ণো ছবিতে অভ্যস্ত তরুণ-তরুণীরা মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
কেউ কেউ প্রেমালাপের মাধ্যমে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিছু সংখ্যক দোকানদারের মাধ্যমে এসব পর্ণো ছবির অংশ বিশেষ’র গ্রাহক হচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। জেলা শহর এবং উপজেলা শহরের টিনএজরা পর্ণো ছবিতে আসক্ত হয়ে মোবাইল ও সাইবার ক্যাফেতে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের মাধ্যমে নগ্ন দৃশ্য উপভোগ করে থাকে।
অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন, এর জন্য প্রকৃত শিক্ষার অভাব, পরিবারের পিতা মাতা কিংবা অভিভাবকদের দায়িত্বহীনতাই এসবের জন্য দায়ি। তারা মনে আরও করছেন, বিজ্ঞানের অগ্রসরতা ইন্টারনেট মোবাইল’র মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে এবং তরুণরা পকেটের টাকা খরচ করে এ বিপদজনক পথে পা দিচ্ছে।
এ ছাড়াও সাইবার ক্যাফেগুলোতে ইন্টারনেট সুবিধার কারণে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পর্ণো ছবি সাইট থেকে ডাউনলোড ব্লু-টুথের মাধ্যমে একজন আরেকজনের কাছ থেকে শেয়ার করছে। এর প্রভাব পড়ছে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুভুতির উপর।
Post a Comment